ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সম্পর্ক এমনিতেই বেশ শীতল। এরমধ্যে ভারতের কিছু মিডিয়া সংস্থার পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিটন দাসকে নিয়ে মিথ্যা এবং সাম্প্রদায়িক রঙ চড়ানো সংবাদ প্রকাশ করে আবারও বিতর্ক তৈরি করলো ভারতের মিডিয়া ‘এবিপি আনন্দ’।
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হয়নি লিটন দাসের। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে বাজে পারফর্মেন্সের কারণে তার বাদ পড়াটা ছিল প্রত্যাশিত। তবে এবিপি আনন্দ দাবি করছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় লিটন দাসকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘এবিপি আনন্দ’ গতকাল একটি প্রতিবেদনে শিরোনাম দিয়েছে, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে উত্তাল দেশ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের দল থেকে বাদ লিটন’। প্রতিবেদনে বলা হয়, “লিটন দাসের পারফরম্যান্স খারাপ হলেও অনেকেই মনে করছেন, তাকে বাদ দেওয়ার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। লিটনের বাদ পড়ার সাথে এই বিষয়টি সম্পর্কিত হতে পারে।”
তবে লিটন দাস তার বাদ পড়ার কারণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে যা বলেছেন, তা এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনের পুরোপুরি বিপরীত। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বাজে পারফরম্যান্সের কারণেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এবিপি আনন্দের এই প্রতিবেদন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই এই সংবাদকে ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছেন।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, “ভারতের নিকৃষ্ট মিডিয়ার মধ্যে এবিপি আনন্দ অন্যতম। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।” আরেকজন মন্তব্য করেন, “লিটন দাস তার ফর্মের কারণে বাদ পড়েছে। কিন্তু সৌম্য সরকার কেন দলে আছে, সেটা নিয়ে তো কিছু বলেনি। সৌম্য কি তাহলে মুসলিম হয়ে গেছে?”
অনেকে মজা করে বলেছেন, “এবিপি আনন্দের মতো মিডিয়া আমাদের বিনোদনের খোরাক জোগায়। মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করাই তাদের কাজ।”
এদিকে, এবিপি আনন্দের এমন প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাংলাদেশের ক্রিকেট দল সবসময় পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে গঠন করা হয়, ধর্মীয় পরিচয় এখানে কোনো প্রভাব ফেলে না। এবিপি আনন্দের মতো মিডিয়ার দায়িত্বশীল হওয়া উচিত এবং মিথ্যা প্রচার থেকে বিরত থাকা উচিত।